Monday, May 7, 2012

স্বপ্ন মাতাল

আব্দুল্লাহ আল হাদি

আজ আকাশে অনেক মেঘ
শহরবাসির তনু মন ভরে খুশির আমেজ
সবাই উত্ফুল্ল হয়ে ছাদে অপেক্ষা করছে বৃষ্টির জন্য
পিচ ঢালা রাজপথ বুক পেতে শুয়ে আছে মিলনের অপেক্ষায়
রাণীর দিঘীর মাছ গুলো বড়ই চঞ্চল
কত দিন পর বৃষ্টি হবে...
কত দিন পর......

বৃথা এ জীবন

আব্দুল্লাহ আল হাদি

বৃথা এ জীবন
বৃথা এ স্বপন
বৃথা এ ভোরের স্নিগ্ধ হওয়া,
বৃথা এ কাঁদন
বৃথা চাওয়া পাওয়া।

আকাশেতে আলো
কখনোবা কালো
কখনো লাগেনা ভাল
কখনো মনে হয় মন্দনা,
সন্ধ্যায় গৃহ তলে মনে হয়
বৃথা এ বন্দনা।

কবিদের নিয়ে কবিতা

আব্দুল্লাহ আল হাদি



কবি তোমার কবিতার ভাষা এতটাই দর্ভ্যেদ্য যে
আমরা তার কিছুই বুঝতে পারিনা
বুঝতে পারিনা তার ভাব রস দিক নির্দেশনা
তবে কেমন করে তোমার কবিতা মেহনতী মানুষের ভাষা হয়
তবে কেমন করে তোমার কবিতা বঞ্চিতের অধিকারের কথা বলে

আমি কাউকেই ভালবাসতে বলিনা

আব্দুল্লাহ আল হাদি

আমি কাউকেই ভালবাসতে বলিনা
ভালবাসা মোরে করেছে ভিখারী
ভালবেসে কাউকে দিতে পারিনি উষ্ণ পরশ

ওযে এসেছিল

আব্দুল্লাহ আল হাদি

ওযে এসেছিল বসেছিল পাশে বহুদিন পর
যুগান্তরের পঞ্জিভূত কত কথা মুখরিত রাত ভর।
সেদিন সব বাঁধার প্রাচীর দিয়েছিল সে টুটে,

পথের মানুষ

আব্দুল্লাহ আল হাদি

আমি এক পথের মানুষ পথই আমার সব,
পদে পদে ক্ষুধার জ্বালার হয়যে অনুভব।
বর্ণ মালা হয়নি শেখা জানিনা কোন কিছু,
তাইতো আমার নজর নাকি সবার থেকে নিচু।

আমি যারে খুঁজি

আব্দুল্লাহ আল হাদি


আমি যারে খুঁজি
সকাল সন্ধ্যা রোজ-ই
পাইনা তারে
অস্ত পারে
তারার কাছে তাহার খবর পুছি।

আমরা

আব্দুল্লাহ আল হাদি

পৃথিবী আশ্রয় নিয়েছে অন্ধকার গুহায়
বিনিদ্র নিশিথের ধর্ষনে..
যৌবনা পৃথিবীর ডিম্বানু ফেটে ছড়িয়ে পড়ে সাত রং
তখনো জেগে উঠেনি প্রণের স্পন্দন

তোমার ঠোঁটে বসন্ত

আব্দুল্লাহ আল হাদি
তোমার ঠোঁটে বসন্ত...
আর আমি চৈত্রের দাবদাহে পাড়ি দেই মরু পথ
নিঃসঙ্গতা নগ্ন পায়ে মাড়িয়ে বের হই সমূদ্র যাত্রায়

আমি কেমনে তোমাকে বলি ভালবাসি

আব্দুল্লাহ আল হাদি


চারদিকে হায়নার বেড়া জাল
রক্তের হলি খেলায় পুঁজিবাদ
বোধের ভেতর পশুর তান্ডব
স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়,
ক্ষুব্দ চরাচর উড়িয়ে দিল বালুকার রাশি,

মুঠোফোন

আব্দুল্লাহ আল হাদি


আজ মোবাইলটা হরহামেষা
দেখা যাচ্ছে ঘরেতে
কিশোর যুবক পৌঢ় বৃদ্ধ
পুচকি খোকার পরেতে।

তুমি যদি বল

আব্দুল্লাহ আল হাদি


তুমি যদি বল
সাগর ছেঁকে মুক্ত এনে দিতে পারি
তুমি যদি বল
আকাশের তারায় বানিয়ে দেব শাড়ি।

শোক সমূদ্র

আব্দুল্লাহ আল হাদি


নবীনা...
তোমার যাবার কথা ছিলনা
কি কথা দিয়েছিলে,
আমার বুকে শুয়ে সবুজ ঘাসের মখমলে।

কষ্টের দিন গুলি

আব্দুল্লাহ আল হাদি


তুমি কি জানো কষ্টের দিনগুলো কতটা নির্মম ?
সময় থমকে যায় দুৎখরা ঘিরে রাখে হরদম
জীবন জড়ায়ে ধরে বিষধর কালপণী
সময়ের ট্রেন চলে বিয়গলের সুরে বয়ে নিয়ে গ্লানী।

অতন্দ্রিলা

আব্দুল্লাহ আল হাদি


অতন্দ্রিলা কেমন আছো তুমি
খুব সুখে আছো তাইনা
জানো অতন্দ্রিলা

ভালবাসি প্রথম আলো ব্লগ

আব্দুল্লাহ আল হাদি


ভালবাসি ফুল
প্রিয়ার এলো চুল
ভালবাসি ঢোল
নদীর দুই কূল

নারী ও নদী

আব্দুল্লাহ আল হাদি


নদীর জল
স্পর্স করে তোমার শাড়ির আঁচল
নদী হয়ে উঠে তোমার মতন
চঞ্চলা চপলা সুন্দরী পরিনত পরিণীতা

ঋণী

আব্দুল্লাহ আল হাদি


আমি জানি মৃত্তিকার ক্রোড়ে বৃক্ষ জন্মায়
মাতৃ ক্রোড়ে শিশু
তবে কার ক্রোড়ে এই পৃথিবী সৃজিল
বীজ ছাড়া যেমন বৃক্ষ হয়না

উপহাস

আব্দুল্লাহ আল হাদি


মা শাখা হাতে
ভাত বেড়ে দেয় পাতে
থালায় ভাতের হাসি
মাকে ভালবাসি।

রাজপুত্তুর জয় করল
রাজ কন্যের মন শাড়িতে
আঁচল ঢেকে মা কাঁদে
ভাত নেই তার হাঁড়িতে।


http://prothom-aloblog.com/posts/18/152070




Link

খুঁজিওনা তারে

আব্দুল্লাহ আল হাদি


খুঁজিওনা তারে
কান্নার জলধারে
যারে খুঁজে পাবেনা কোন দিন
খুঁজে দেখ আকাশ কোথায় অমলিন।

পৃথিবীর ব্যাস্ত শহরে
অন্ধকার দাঁড়ায়েছে যে নগরে
যেখানে মানুষ ছায়া হয়ে থাকে ছায়ার ভিতর
তার বদলে খুঁজে দেখ কীট পুঁই লতার উপর।

যে সাগর বরফে ঢাকা ভুলে গেছে উচ্ছাস
নিজেই নিজে নিয়েছে নিজের অবকাশ
খুঁজিওনা সেই সিন্ধু
খুঁজে নাও ঘাসের ডগার উপর ভোরের শিশির বিন্দু

যে নারীর রুপে জুড়ায় আখিঁ ভরে নাকো মন
অহংকারে মজে থাকে যে সারাক্ষন
দেখিওনা তার রুপ নিওনা তার ঘ্রান
খুঁজে নাও ঘাস ফুলের সৌরভ যে টুকু করে সে দান

খুঁজিও তারে.........
যারে খুঁজে পাবে অন্তরে।



http://prothom-aloblog.com/posts/18/155437

একাত্তরের চিঠি

আব্দুল্লাহ আল হাদি


আমার ঘর ভাল নেই মন ভাল নেই
মন বসেনা কাজে
মা বাপরা ঝগড়া করে
কাটে মাথা লাজে।

তোমার ডাগর দুটি চোখে


আব্দুল্লাহ আল হাদি

তোমার ডাগর দুটি চোখে
সর্বনাষের সবকটি ছল
বলে পাড়ার লোকে।

তবু

তোমায় যাইযে ভালবেসে
কেন? গুপ্ত চোরা আমার বুকে
বসাও হেসে হেসে......।



http://prothom-aloblog.com/posts/18/155772

নারী

আব্দুল্লাহ আল হাদি


হে নারী প্রেম দাও পরশ দাও
চুম্বন দাও
দাও অমৃত সুধা,
হাতে হাত রাখো
অধরে অধর চাপো
মিটাও মনের ক্ষুধা।
তুমি দেখ হে নারী
আকাশের চাঁদের বুড়ি
উছলে দিয়েছে আলো,
এমনও নিশীথে
হাত রেখে হাতে
মহুয়ার বনে যাই চল।

হেথায় নৃত্যে গাহিয়া গান
বাহুর বাঁধনে জুড়াইয়া প্রাণ
রচিব মোহন স্বর্গ হে,
অঙ্গে উতলা রুপের বাহার
জানি প্রেয়সী জানিগো তোমার
তন্বি নয়নে বহ্ণি হে।
ডাকিবে আঁখি বাজিবে কাঁকন
দেহের পরতে জাগিবে কাঁপন
বীর্যপাতের স্নানে,
এই দেহে তোমার যে ফুল ফুটে রয়
জানি প্রেয়সী বড় জ্বালাময়
জুড়ায় আলিঙ্গনে।

কামিনী তুমি জামিনী জেগে
ডাকো যদি এই আমাকে
মোহন বাঁশির সুরে,
দিগ্বিজয়ের জয়োল্লাসে
তোমায় রেখে বুকের পাশে
যাবো এ্যাডভেন্সারে।



http://prothom-aloblog.com/posts/18/156655




আমি ভালবাসি ভালবেসে যাই নারীকে

আব্দুল্লাহ আল হাদি


আমি ভালবাসি ভালবেসে যাই নারীকে
বাংলার বধুর মুখ ঢাকা আঁচল শাড়িকে
শত জড়ের আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গে যায় মোর নীড়
আমি তাই খুঁজে নিলাম নারীর শরীর
এই নারীতে জন্মযে মোর এই নারীতে বাস
এই নারীতে অগ্নি জলে হয়রে ফসল চাষ
তার এক কথাতে এই ভুবনে আগুন জ্বেলে দেব
তার এক কথাতে বিষের বাটি উজাড় করে নেব।



http://prothom-aloblog.com/posts/18/156996

লিকুয়িড প্রেম


আব্দুল্লাহ আল হাদি



সময়ের পরিবর্তনে ফুঁসে উঠেছে কিশোরীর স্তন
সর্বনাষা বহ্নি জ্বালা প্রার্থনা করে মন্থন
বরফ গলে নদী বিন্দু বিন্দু সিন্ধু জল
প্রলয় শেষে নতুন সৃজন মধুর হাসে পিঙ্গল।

নাচিয়া রঙ্গে গীত তার সঙ্গে কেয়া বন কাঁপে
রক্ত মাংস লিকুয়িড হয়ে আসে উষ্ণ তাপে
হু হু অ্যা অ্যা উঠে ফোটে লোলাটে
ঘোঁ ঘোঁ গর গর সব কিছু গোলাটে।

বেসুরা সুরা সুর তা-থা-থৈ তা-থা-থৈ
সঙ্গিনী রঙ্গনী দেখ ঐ দেখ ঐ
শান্ত মন শান্ত তনু
মিলন মেলায় কোটি অনু
সুখ নিলেম
তোমায় দিলেম
এই আমাদের লিকুয়িড প্রেম।


http://prothom-aloblog.com/posts/18/157393